অবৈধ স্বর্ণ মজুদের মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ জামিন পেয়েছেন।
রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছে।
আদালতে আপন মালিকদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর রাজধানীর গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের করা পাঁচ মামলার মধ্যে তিন মামলায় দিলদার আহমেদসহ আপন জুয়েলার্সের মালিকদের জামিন দেয় হাইকোর্ট।
তবে বাকি দুই মামলা স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রাখা হয়।
এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর হাইকোর্টের জামিন স্থগিত করে আপিল বিভাগ।
গত ৮ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর হাইকোর্টের জামিন বহাল থাকে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। ওইদিন আইনজীবীরা জানান, পাসপোর্ট জমা রাখার শর্তে জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাইয়ের জামিন বহাল রাখা হয়েছে। তবে, দুই ভাই গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের জামিনের মুক্তি পেতে বাধা না থাকলেও দিলদার আহমেদের আরও দুই মামলা থাকায় তিনি আপাতত জামিনে মুক্তি পাবেন না।
এরপর গত মঙ্গলবার এক মামলায় এবং রোববার অপর মামলায় জামিন পান দিলদার আহমেদ।
রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গত বছরের মে মাসে গ্রেপ্তার হন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদারের ছেলে সাফাত আহমেদ।
বর্তমানে কারাগারে থাকা সাফাতসহ তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এরপরই আপন জুয়েলার্সের ‘অবৈধ লেনদেন’ এর খোঁজে তদন্তে নামে শুল্ক গোয়েন্দারা।
গত বছরের মে মাসের শেষ দিকে আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শোরুম থেকে ১৫ দশমিক ৩ মণ সোনা এবং ৭ হাজার ৩৬৯টি হীরার অলঙ্কার জব্দ করে তা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠায় শুল্ক গোয়েন্দা।